বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর প্রসঙ্গ তু...
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর প্রসঙ্গ তুললে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাতে নেতিবাচক সাড়া দেননি।
শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি লেখেন, “আমরা বিশ্বাস করি একদিন শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং তখন আমরা শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত বিচার প্রক্রিয়ার সাক্ষী থাকব।”
২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয় বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের ফাঁকে গত শুক্রবার অধ্যাপক ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট দীর্ঘ একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শন করেন এবং তার কাজের প্রশংসাও করেন।
বৈঠকে মোদি বলেন, “যদিও শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অতীতে ভালো ছিল, তবু আমরা লক্ষ্য করেছি তিনি আপনার প্রতি অবমাননাকর আচরণ করেছেন। আমরা সত্ত্বেও আপনার প্রতি সম্মান বজায় রেখেছি।
শফিকুল আরও লেখেন, ভারত যে বাংলাদেশকে ঘিরে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পর্ক গড়তে চায়, তা মোদির কথায় স্পষ্ট ছিল। বারবার তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে—কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়।
অধ্যাপক ইউনূসও এই বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, “আমরা চাই ভারতের সঙ্গে সর্বোচ্চ মাত্রার সুসম্পর্ক, তবে তা হতে হবে ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"