দীর্ঘ নয় বছর পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দায়ের করা ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ...
দীর্ঘ নয় বছর পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দায়ের করা ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার, পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে এই মানহানি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইস্ট লন্ডনের অস্ট্রিয়ামে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার-পাকবন্ধু হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তারেক রহমানের এসব মন্তব্য বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে এবং দেশের মানমর্যাদা বহির্বিশ্বে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে দাবি করা হয়।
মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লা রানা এই মন্তব্যে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং সেই কারণেই তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
তারেক রহমানের খালাসের পর, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেছেন, মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। বাদী দীর্ঘ নয় বছর ধরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না, এবং কৌঁসুলির পক্ষ থেকেও কোনো তদবির ছিল না। তবে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদালতকে ব্যবহার করে মামলাটি জিইয়ে রাখা হয়েছিল।