ফরিদপুর শহরতলীর টেপাখোলায় কুমার নদের স্লুইস গেট এলাকা এখন একটি নতুন বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই স্লুইস গেট থেকে কুমার নদের উৎস মুখে পান...
ফরিদপুর শহরতলীর টেপাখোলায় কুমার নদের স্লুইস গেট এলাকা এখন একটি নতুন বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই স্লুইস গেট থেকে কুমার নদের উৎস মুখে পানি প্রবাহ দেখার জন্য প্রতিদিন হাজারো মানুষের ভিড় জমে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা নানা বয়সী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন এখানে ভিড় করছেন।
ফরিদপুরে খোলামেলা বিনোদন স্থানের অভাব থাকায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এই স্লুইস গেট এলাকায় আসেন। বিশেষ করে বন্ধের দিনগুলোতে মানুষের ঢল দেখা যায়। এই বিনোদন কেন্দ্র ঘিরে অনেকের জীবিকার পথও তৈরি হয়েছে। দোকানপাটের পাশাপাশি নৌকা চালিয়েও অনেকেই সংসার চালাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মদনখালী স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় পদ্মা নদীর পানি বিপুল গর্জনে কুমার নদে প্রবাহিত হচ্ছে। এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষ সেখানে ভিড় জমাচ্ছে। কেউ আড্ডায় মেতে আছে, কেউ প্রবাহমান পানি দেখছে, আবার অনেকেই মোবাইলে ছবি, ভিডিও এবং সেলফি তুলছে। এলাকায় ঘোরাঘুরির জায়গা কম থাকায় স্লুইস গেটটি স্থানীয়দের জন্য নতুন অবকাশকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাহারি খাবারের দোকান, খেলনা ও অন্যান্য পণ্যের দোকান নিয়ে ব্যবসায়ীরা সেখানে বসেছে।
শহরের বাসিন্দা সুমাইয়া আফরিন, বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে এসে জানান, "আগেও এখানে এসেছি, তবে ইদানীং মানুষের ভিড় অনেক বেড়েছে। কাছের ও দূরের অনেক মানুষ এখানে আসে। জায়গাটা খুবই সুন্দর। নৌকায়ও ঘুরা যায়। যদি সরকার বিনোদনের জন্য আরও ভালো উদ্যোগ নেয়, তাহলে এটি আরও উন্নত হবে।
কুষ্টিয়া থেকে কুলফি মালাই বিক্রি করতে আসা মো. সিরাজ বলেন, "খাঁটি গাভীর দুধ দিয়ে নিজেই কুলফি মালাই তৈরি করে এখানে বিক্রি করি। বিক্রিও ভালো হয়, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়।
আলালপুরের তাওহিদুর রহমান ঘুরতে এসে বলেন, "বিশেষ করে বিকেলের সময় কাটানোর জন্য এটা দারুণ একটি জায়গা। এখানে এসে খুব ভালো লাগে। বাতাস আর পানির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শ্রেয়া বলেন, "এখন এখানে প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসে। এটা সত্যিই ঘোরার জন্য একটা সুন্দর জায়গা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অনেকেই এখানে এসে আড্ডা দেয়, সময় কাটায়। এখানে এসে মনটাই ভালো হয়ে যায়।
পরিবার নিয়ে আসা ব্যাংকার আরিফ হোসেন বলেন, "অসাধারণ একটা জায়গা। ছুটির দিনে মন খারাপ থাকলে এখানে এসে সময় কাটাই, মন ভালো হয়ে যায়। এখন মানুষের ভিড়ও বেড়েছে।
স্থানীয় নৌকার মাঝি পবিত্র মালো জানান, "আমার নিজের একটি নৌকা আছে। অনেক দর্শনার্থী নৌকায় ঘুরতে পছন্দ করেন। জনপ্রতি এক ঘণ্টার জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। ইদানীং আয় ভালোই হচ্ছে, যা দিয়ে সংসার চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, "শহরতলীর ধলার মোড় এবং মদনখালী স্লুইস গেট এলাকা উন্নত সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করতে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য জোর চেষ্টা চলছে। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা জোরদারসহ পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় যাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আরও বিবেচনা করা হবে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ গুগল নিউজ"
" আঁধার আলো নিউজ টুইটার "
" আঁধার আলো নিউজ ফেসবুক"
"আঁধার আলো নিউজ পিন্টারেস্ট ;
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"
" আঁধার আলো নিউজ লিংকডইন "