বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্...
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, অনেক গণতান্ত্রিক দেশে এটি প্রচলিত একটি ব্যবস্থা, যা সংকটময় পরিস্থিতিতে জনগণকে তথ্য দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর যদি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার গণমাধ্যমের সামনে আসে, তবে তা স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং জনগণের সঙ্গে সরকারের নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করবে বলে তিনি মনে করেন। তবে তিনি সতর্ক করে দেন, এই প্ল্যাটফর্ম যেন চাটুকারিতার জায়গায় পরিণত না হয়। শনিবার সোয়া তিনটার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রূপান্তরের যে অধ্যায় শুরু হয়েছে, তা এক বিরল দৃষ্টান্ত। এই নতুন যাত্রার লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক প্রথায় সুশাসিত, বৈষম্যহীন এবং প্রগতিশীল সমাজ গঠন করা। বিগত সরকার বাংলাদেশের জনগণকে শিখিয়েছে যে নির্বাচিত সরকারও কর্তৃত্ববাদী এবং স্বৈরাচারী হতে পারে। এখন দেখা যাবে, অনির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক হতে পারে কিনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করতে পূর্ণ সচেতনতা বজায় রাখবেন এবং সহযোগী ভূমিকা পালন করবেন।
ড. জাহিদ হোসেন লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল মাত্র ৯ দিন পেরিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশকে পুনর্গঠন করা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের চেয়েও বেশি চ্যালেঞ্জিং। সরকারকে সময় দেওয়া উচিত, যেন তারা সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারে। সরকারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনার পরিবেশ এখন গড়ে উঠছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ইতিবাচক।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বচ্ছতা বৃদ্ধির পথে আর কোনো বাধা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণ জানতে চায়— কী ঘটছে, কীভাবে কাজ চলছে, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী। আমাদের মুক্তি মিলেছে, কিন্তু এ মুক্তির ধারাবাহিকতা কতটা নিশ্চিত? সরকারের স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি নিয়মিত মাধ্যম প্রয়োজন। উপদেষ্টাদের অনেকেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন, যা সংযোগের একটি ধাপ। তবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং হলে এটি আরও কার্যকর হবে, যা অনেক গণতান্ত্রিক দেশে প্রচলিত।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর যদি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার গণমাধ্যমের সামনে আসে, তবে এটি স্বচ্ছতার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যদি ব্রিফিং দেন, তাহলে বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে না। উনি নিজে দক্ষ বক্তা এবং সঞ্চালনেও পারদর্শী। শুধু একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যপত্রই যথেষ্ট হবে। তবে যদি তিনি সব ব্রিফিংয়ে আসতে না পারেন, তাহলে প্রেস সচিব তার হয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তবে প্রেস ব্রিফিং হতে হবে খোলামেলা পরিবেশে। যদি এটি চাটুকারিতার মঞ্চে পরিণত হয়, তাহলে পুরো প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"