মঙ্গলবার লোকসভায় শপথগ্রহণ করে হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত এমপি আসাদুদ্দিন ওয়াসি। ছবি: সংগৃহীত নির্বাচনের পর গত সোমবার শুরু হয়েছে ভারতের অষ্ট...
মঙ্গলবার লোকসভায় শপথগ্রহণ করে হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত এমপি আসাদুদ্দিন ওয়াসি। ছবি: সংগৃহীত |
নির্বাচনের পর গত সোমবার শুরু হয়েছে ভারতের অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। টানা ১০ দিনের এই অধিবেশনের প্রথম দিনে নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণের সময় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সংসদ। কিছু স্লোগান ছিল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। বিজেপির সাংসদদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিপরীতে বিরোধীরা ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’, এবং ‘জয় মমতা’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদের মুখে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিও শোনা যায়।
মঙ্গলবার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ‘জয় ফিলিস্তিন’ স্লোগান দিয়ে আলোচনার জন্ম দেন সর্বভারতীয় মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। বুধবার ভারতীয় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশনে নিজের শপথ গ্রহণ শেষে এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি স্লোগান দেন—‘জয় ভিম, জয় মীম, জয় তেলেঙ্গানা, জয় ফিলিস্তিন।’
ওয়াইসির স্লোগানের শেষ অংশে ‘জয় ফিলিস্তিন’ ব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদরা। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করা বিজেপির রাধা মোহন সিং ঘোষণা করেন যে ওয়াইসির স্লোগানটি সরকারি রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হবে। এতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কিছুক্ষণ স্থবির হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য অনুষ্ঠান যথারীতি চলতে থাকে।
বিতর্ক চলাকালীন মত প্রকাশের স্বাধীনতার উল্লেখ করে হায়দরাবাদ থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বিজেপির আপত্তির কারণ জানতে চান। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন যে তাঁর স্লোগান ‘জয় ভীম, জয় মীম, জয় তেলেঙ্গানা, জয় ফিলিস্তিন’-এর মধ্যে ভুল কিছু ছিল না। তিনি বলেন, এই স্লোগানে ভারতের সংবিধানবিরোধী কিছু ছিল না এবং ফিলিস্তিনিদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাদের প্রতি সমর্থন জানান। ওয়াইসি আরও উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর মতামত পড়ার আহ্বান জানান।
জানা যায়, ঐতিহাসিকভাবে ভারত ফিলিস্তিনিদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সহমর্মিতা ও সমর্থন পোষণ করে। তবে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার কারণে গত তিন দশকে ইসরায়েলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ কারণে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারগুলো সব সময়ই ইসরায়েলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিনের প্রতি ঐতিহাসিক সমর্থন, এই দুটি বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"