ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী ১৭ এপ্রিল গাজিয়াবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। ছবি : এএফপি ভারতের অষ্টাদশ লোকসভায় ব...
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী ১৭ এপ্রিল গাজিয়াবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। ছবি : এএফপি |
ভারতের অষ্টাদশ লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীকে মনোনীত করতে চায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার দিল্লিতে দলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে ৪৪টি এবং ২০১৯ সালে ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে।
ফলে এক দশক পর লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদ ফিরছে। কেরালার ওয়েনাড় এবং উত্তর প্রদেশের রাইবেরিলি—দুটি আসন থেকেই সাড়ে তিন লাখের বেশি ব্যবধানে জয়ী হওয়া রাহুলই দলের পছন্দ বলে জানিয়েছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল।
শনিবার বিকেলে বৈঠকের পরে বেণুগোপাল জানান, রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণ করার জন্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তবে বিষয়টি এখন রাহুল গান্ধীর বিবেচনাধীন রয়েছে।
কংগ্রেস সংসদ সদস্য এবং ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য কুমারী শেলজা বলেন, "আমরা সবাই একযোগে রাহুলকে বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছি।"
লোকসভা নির্বাচনের রাজ্য পর্যায়ের ফলাফল বিশ্লেষণ করে হারের কারণগুলো চিহ্নিত করা হবে বলে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে লোকসভা নির্বাচনে দলের ফলাফল খারাপ হওয়ায় বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেক্ষাপটে তুলনামূলক ভালো ফল করলেও কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড়, মধ্য প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশে দলের ফলাফল খুবই হতাশাজনক হয়েছে।
তেলেঙ্গানায় মাত্র ছয় মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল জয়ের পরেও কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েছে বিজেপি। হিমাচলে কংগ্রেস শাসিত চারটি লোকসভাই বিজেপি জয় করেছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিধানসভা কেন্দ্রসহ সব বিধানসভা এলাকাতেও কংগ্রেস পিছিয়ে রয়েছে।
১৯৯৯ ও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনিকে মাথায় রেখে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির সুপারিশ মেনে সাংগঠনিক স্তরে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
এবারও খড়গে রাজ্যভেদে নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় রদবদলের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে পারেন বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"