যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে প্রথম সরাসরি বিতর্কে জো বাইডেনের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ডেমোক্রেটিক পার্টি বেশ উদ্বিগ্ন। বিত...
যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে প্রথম সরাসরি বিতর্কে জো বাইডেনের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ডেমোক্রেটিক পার্টি বেশ উদ্বিগ্ন। বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হয়ে ভালো করতে না পারায় দলের নেতারা হতাশ। বাইডেনের এই ব্যর্থতা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কাছেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার আটলান্টা শহরে সিএনএনের স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত বিতর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তীব্র আক্রমণের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ৮১ বছর বয়সী বাইডেন। এর পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি পেরে উঠবেন কিনা। এমনকি কিছু ডেমোক্রেটিক নেতারা বাইডেনকে নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
বাইডেনকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরানোর বিষয়ে ন্যাটোসহ ওয়াশিংটনের পশ্চিমা মিত্ররা বেশ উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় নীতিবিষয়ক সিএনএনের সম্পাদক লুক ম্যাকগির মতে, শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তন করলে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংকট দেখা দিতে পারে। এর ফলে রাশিয়া ও চীনের মতো শত্রুরা মার্কিন গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপের সুযোগ পেতে পারে।
লুক ম্যাকগি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র শত্রু দেশগুলোর তুলনায় দুর্বল দেখাবে। এই দুর্বলতা ভুয়া তথ্য ছড়ানোর সুযোগ করে দিতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।
বাইডেন যদি নির্বাচনে জিতেও যান, তাঁর অক্ষমতা নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনার ফলে বিভক্তি, অবিশ্বাস এবং ভয়ের আবহ তৈরি হতে পারে। ইউক্রেনকে সহায়তায় কংগ্রেসকে রাজি করাতে পারা, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়লে অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো রাজনৈতিক সক্ষমতা থাকবে কি না, এসব বিষয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন সিএনএনের এই সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবারের বিতর্কের পর জো বাইডেন নিজে এবং তার দল যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিতর্কে তিনি ভালো করতে পারেননি, এটি স্বীকার করলেও তিনি ট্রাম্পকে নির্বাচনে হারানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ী। বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটনের মতো প্রবীণ নেতারা তার প্রতি অবিচল সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন।
বিতর্কে বিপর্যয়ের পর ডেমোক্র্যাট শিবিরে নতুন এক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, আর তা হলো তাদের নির্বাচনী তহবিলে অর্থদাতারা মুখ ফিরিয়ে নেবেন কি না। এই আশঙ্কা দূর করতে গতকাল শনিবার নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, "আপনারা নিশ্চিত থাকুন, আমরা জিতব।"
নির্বাচনী তহবিলের বিষয়ে বাইডেনের প্রচার দলের প্রধান জেনিফার ও’মালি ডিলন জানান, বিতর্কের পর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট শিবির ২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ করেছে। বিতর্কের পর কিছু মানুষ হয়তো বাইডেনকে গোনায় ধরছেন না, তবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে পাওয়া তথ্য ভিন্ন কিছুই বলছে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"