সামনে বিস্তৃত সমুদ্র, পায়ের নিচে ভেজা বালি, আর মাথার কাছ দিয়ে গর্জন করে উড়ে যাচ্ছে বিশালাকার প্লেন। এতটাই নিচ দিয়ে যে, প্লেনের সঙ্গে সেলফি...
সামনে বিস্তৃত সমুদ্র, পায়ের নিচে ভেজা বালি, আর মাথার কাছ দিয়ে গর্জন করে উড়ে যাচ্ছে বিশালাকার প্লেন। এতটাই নিচ দিয়ে যে, প্লেনের সঙ্গে সেলফি তোলা সম্ভব! এই অনন্য অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় ফুকেটের ‘মাই খাও’ সমুদ্র সৈকতে।
সাধারণত সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়, কেউ সমুদ্রে গোসল করছে, কেউ শুয়ে শুয়ে সানবাথ নিচ্ছে, আবার কেউ দল বেঁধে আড্ডায় মশগুল। কিন্তু মাই খাও বিচে দৃশ্যটা ভিন্ন। এখানে সবাই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে, যেখানে জেট ইঞ্জিনের প্রচণ্ড শব্দে প্লেন উড়ে যায় আর পর্যটকদের মাঝে সৃষ্টি হয় উল্লাস।
মাই খাও বিচে প্রতিটি পর্যটকের হাতে থাকে ক্যামেরা বা মোবাইল। সবাই আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে প্লেনের সঙ্গে সেলফি বা ভিডিও তোলার জন্য। এই বিচের পাশেই অবস্থিত ফুকেট ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, তাই পর্যটকদের মাথার কাছ দিয়েই প্লেনগুলো নামে। ‘প্লেন স্পটিং’-এর জন্য মাই খাও বিচ এতটাই জনপ্রিয়।
এয়ারপোর্টস্পটিং ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা এবং "ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্টস স্পটিং গাইড" এর লেখক ম্যাট ফ্যালকাস বলেছেন, মাই খাও বিচের মতো উড়ন্ত বিমানের এত কাছাকাছি আসার সুযোগ অন্য কোথাও নেই। এটি যে কোনো মানুষের জন্যই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। তবে, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ চিন্তিত। মাই খাও বিচে ঘোরার আদর্শ সময় হলো ডিসেম্বর মাস। এখানে প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট অন্তর একটি করে প্লেন মাথার উপর দিয়ে উড়ে যায়।
থাইল্যান্ডের বিমানবন্দরগুলোর ফ্লাইট ডেটা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া বিমান মিলিয়ে ফুকেট বিমানবন্দর থেকে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ বিমান ওঠানামা করে। এশিয়ার সেরা প্লেন স্পটিং জায়গাগুলোর মধ্যে মাই খাও-এর নাম সবার আগে আসবে। ফুকেটের দীর্ঘতম এই সি বিচের একটি ছোট অংশ প্লেন দেখার জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
এই সি বিচের পাশেই অবস্থিত সিরিনাট জাতীয় উদ্যান। প্লেন স্পটিংয়ের স্থানটি জাতীয় উদ্যানের সম্পত্তির মধ্যে পড়ে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"