Page Nav

HIDE

Breaking News:

latest

যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি ব্যবহারে নিষেধ, খেলা কি শেষ? নাকি শুরু

  যুদ্ধের প্রারম্ভ হল সাল ১৯৯১, যা সাধারণভাবে 'ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ', 'প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ', 'অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম', ...

 

যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি ব্যবহারে নিষেধ, খেলা কি শেষ? নাকি শুরু


যুদ্ধের প্রারম্ভ হল সাল ১৯৯১, যা সাধারণভাবে 'ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ', 'প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ', 'অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম', 'অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড' বা 'মাদার অফ অল ব্যাটলস' নামেও পরিচিত। এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীনে একটি আন্তর্জাতিক জোট এবং ইরাক অংশগ্রহণ করে। ১৯৯০ সালের আগস্টে, ইরাক কর্তৃক কুয়েত আক্রমণ ও দখলের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এরপর ১৯৯১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে, মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে কুয়েত থেকে ইরাকি সৈন্য প্রত্যাহার ঘটে, এবং তারপর এই যুদ্ধের অবসান ঘটে।


যদিও প্রশাসনিক উত্তেজনা থাকতেও, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভূখণ্ড বা আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো হামলা চালাতে দেয়নি বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রশাসনের উচিত উত্তরদাতারা অনুমান করেছে, এই সংক্রান্তে সত্যতা উল্লেখ করে, কিন্তু প্রতিক্রিয়া কম। মার্কিন কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য উৎসগুলি মধ্যপ্রাচ্যে বলেছে, রাষ্ট্রপ্রতিরোধে আবারও মার্কিন সরঞ্জাম এবং বাহিনী দিয়ে এই ধরনের বিরোধী কার্যকলাপের চেষ্টা করা হতে পারে। তাদের মতে, 'তাদের রাজ্যের ভেতরের ঘাঁটি থেকে তেহরান বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলা বন্ধ করার সব উপায় রয়েছে।


আঞ্চলিক রাজতন্ত্র বলয়ে অবস্থিত হলে সেখানে মুখ্যতঃ হেভিওয়েট সোদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং কুয়েত। তাদের নেতৃত্বে মার্কিন সম্পদ চুক্তিতে ‘প্রশ্ন উত্থাপন’ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কদম নেওয়ার লক্ষ্যে ইরানের কাছে প্রতিরোধ প্রদর্শন করতে তাদের সীমানা উপস্থাপনে এক কঠিন সংখ্যালঘু ঘাঁটির ব্যবহার হচ্ছে।


এছাড়া, ন্যাটো সদস্য তুরস্ক প্রতিষ্ঠান দ্বারা তার আকাশসীমা ব্যবহারের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণের চেষ্টা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যটির যাচাই করা হয়নি, তবে এটি নিয়মিতভাবে উপস্থাপন পেয়েছে।


মিডল ইস্ট আইনের এক প্রতিবেদনে বর্ণিত হয়েছে যে, ইরান ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে, উল্লেখ করে যে যদি ওয়াশিংটন ইরান এবং ইসরায়েল মধ্যে সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তারা মধ্যপ্রাচ্যের আমেরিকান সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবদ্ধ করতে পারে।


মধ্যপ্রাচ্যের ঘাটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ হাজারের অধিক সেনা অবস্থিত রয়েছে। এই সেনার মধ্যে কাতারের আল উদেইদ বিমানে ১০ হাজার সেনা আবার বাহরাইনে ৭ হাজার সেনা এবং মার্কিন পঞ্চম নৌবাহিন্যের অংশ রয়েছে। এই নৌবাহিন্য পারস্য উপসাগর, লোহিত ও আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে কাজ করে। অতএব, কুয়েতে ১৫ হাজারের বেশি সেনা রয়েছে, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে কমপক্ষে ৫ হাজার সেনা এবং সৌদির প্রিন্স সুলতান বিমানে প্রায় ২ হাজার ৭০০ সেনা এবং যুদ্ধবিমান রয়েছে।


মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি উপসাগরীয় শক্তির স্বাধীনতা জন্য বড় একটি সংকট উত্পন্ন করেছে, যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বহু দশক ধরে চলে আসা তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের কারণে।


আরও, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে উপসাগরীয় রাষ্ট্রের নেতারা এবং তাদের দেশের জনগণের মধ্যে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনের ধারণা আরও দূরে পৌঁছেছে। গাজা যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের পূর্ণ সমর্থন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এসব দেশগুলোর সম্পর্ক আরও শীতল হয়েছে।



সবার আগে পেতে Follow করুন:

" আঁধার আলো নিউজ গুগল নিউজ"

" আঁধার আলো নিউজ টুইটার "

" আঁধার আলো নিউজ ফেসবুক

"আঁধার আলো নিউজ পিন্টারেস্ট ;

" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"

" আঁধার আলো নিউজ লিংকডইন "