Page Nav

HIDE

Breaking News:

latest

নতুন টাকা ফুটপাতে আছে কিন্তু ব্যাংকে তেমন নেই!

  আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন প্রতিদিন আগত হচ্ছে , মানুষের মধ্যে নতুন নোট সংগ্রহের আগ্রহও  বাড়ছে। এই সময়ে নোট সংগ্রহের চাহিদা বাড়াতে রাজধান...

 

নতুন টাকা ফুটপাতে আছে কিন্তু ব্যাংকে তেমন নেই!


আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন প্রতিদিন আগত হচ্ছে , মানুষের মধ্যে নতুন নোট সংগ্রহের আগ্রহও  বাড়ছে। এই সময়ে নোট সংগ্রহের চাহিদা বাড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী নোট বিনিময়ের দোকান উঠে এসেছে। প্রচুর লোক নতুন নোটের সাথে ঈদ সালামি, যাকাত এবং ফিতরা দেওয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকতে চান।


বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবারের মত  নতুন নোট বিনিময়ের প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছে এপ্রিল ৯ তারিখ পর্যন্ত। এ নতুন ব্যবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয় এবং তার শাখাগুলির কাউন্টারে মাধ্যমে মানুষ নূতন নোট পেতে পারছেন। এই বিনিময়ে নোটের মূল্য পাঁচ, দশ, বিশ, পঞ্চাশ এবং একশ টাকার পর্যন্ত করা হচ্ছে।


ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার ৮০টি শাখার মাধ্যমে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না। নতুন নোট পেতে লাইনে অপেক্ষা করতে হতে পারে।


অন্যদিকে, কিছু মানুষ অফিস সময়ে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারে না। তাদের জন্য নতুন নোট পেতে সুবিধা হয়না। তারা সুবিধাজনক সময়ে নতুন নোট সংগ্রহ করতে চান। এই ধরনের গ্রাহকেরা অস্থায়ী দোকানগুলির মাধ্যমে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন । তবে এই দোকানগুলোতে নোটের মূল্য বেশি হতে পারে, প্রতি বান্ডিলে (১০০টি নোট) ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি গুনতে হতে পারে।


গুলিস্তান এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখন নতুন নোটের বান্ডিল বিক্রি করছেন। এখানে ৪০ থেকে ৫০ জন দোকানপাটিতে নোটের বিনিময় চালু হয়েছে, যেখানে ১০০ ও ২০০ টাকা পর্যন্ত নতুন নোট বিক্রি হচ্ছে।


দিনকে দিন এখানে বিক্রেতারা ব্যস্ত হয়ে আছেন নতুন নোট বিক্রি করতে। পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী শ্রেণির লোকজনের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে নতুন নোট সংগ্রহ। তারা বলছেন, ব্যাংকে তাদের নতুন নোট পাওয়ার সুবিধা নেই, তাই অনেকে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন। এ নোটগুলো বিক্রেতাদের হাতে পৌঁছানোর পর দাম বেড়ে যায়।


চাকরিজীবী শামছুজ্জামান তুর বলছেন, ব্যাংকে ভিড় অনেক আছে এবং কাক্সিক্ষত পরিমাণে নতুন নোট পাওয়া যায় না। এই বছরে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা, প্রতি বান্ডিলে ২০০-৩০০ টাকাও বাড়তি দাম চাচ্ছেন।


বান্ডিলের দাম কেমন ॥ ১০ টাকার একটি বান্ডিলের (১০০টি নোট) মূল্যমান ১ হাজার টাকা। তবে নতুন নোটের এমন একটি বান্ডিল সেখানে ১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি বান্ডিলে ক্রেতাদের বাড়তি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। ২০ টাকার বান্ডিলের জন্যও ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে।


এভাবে নতুন ২ টাকার বান্ডিলের জন্য ১৫০ টাকা, ৫ টাকার বান্ডিলের জন্য ২০০-২৫০ টাকা, ৫০ এবং ১০০ টাকার বান্ডিলের জন্য ১৫০-২০০ টাকা এবং ২০০ টাকার বান্ডিলের জন্য ১০০-১৪০ টাকা করে বাড়তি দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বিক্রেতারা জানান, ঈদের সময় ঘনিয়ে এলে, নতুন নোটের দাম বাড়তে থাকে। তবে একটু দরাদরি করে নিলে দামে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়


বিক্রেতারা বলেন, ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোটের চাহিদা এ বছর সবচেয়ে বেশি। এরপর ২ ও ৫ টাকার নোট বেশি বিক্রি হচ্ছে।



সবার আগে পেতে Follow করুন:

" আঁধার আলো নিউজ গুগল নিউজ"

" আঁধার আলো নিউজ টুইটার "

" আঁধার আলো নিউজ ফেসবুক

"আঁধার আলো নিউজ পিন্টারেস্ট ;

" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"

" আঁধার আলো নিউজ লিংকডইন "