তাপদাহের কারণে স্কুল এবং কলেজ আগামী রোববার খোলা হবে না, এবং আরো সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ...
তাপদাহের কারণে স্কুল এবং কলেজ আগামী রোববার খোলা হবে না, এবং আরো সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রত্যাশিত মেয়াদে স্কুল, কলেজ, এবং মাদ্রাসা খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল এবং কলেজের ছুটি সম্পর্কে জানিয়েছে। এছাড়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাদ্রাসা অধিদপ্তর একই তথ্য প্রদান করেছে।
মাউশি জানায়, সারাদেশে চলমান তাপদাহ এবং আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা অনুযায়ী, সরকারী এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পূর্বনির্ধারিত প্রত্যাশিত মেয়াদের পরিবর্তে ২৮ এপ্রিলে খোলা হবে।
বন্ধ থাকবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তীব্র গরমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় এবং উপান্যাশিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
মাদ্রাসাও বন্ধ:
মাদ্রাসা অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতকাল ছুটি ঘোষণা করা হবে, তাদের প্রতিষ্ঠানেও ঐ সময়ে ছুটি থাকবে।
দেশের কিছু জেলা এবং প্রায় সব অঞ্চলে তীব্র এবং বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝারি এবং মৃদু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এপ্রিল মাসে এই গরমের অবস্থা আরও তীব্র হবে এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। গরমের তীব্রতা বাড়াতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও বেড়ে যাচ্ছে। এই উচ্চ তাপমাত্রার পরিণামে জনজীবনের অসুখ হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায়, শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর তিন দিনের জন্য তাপ সতর্কতা ঘোষণা করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২৬ দিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা থাকলেও অস্বাভাবিক জ্বর না কমানো পর্যন্ত বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে অভিভাবকদের কাছ থেকে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং গরমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
গত চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চলছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে রাজশাহীতে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগের দিন বৃহস্পতিবার জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত বছর পাবনায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। অনুরূপ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৯৫ এবং ২০০২ সালে। ২০১৪ সালে, চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা দেশের সর্বোচ্চ। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর, ১৮ মে, রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ তারিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, বাতাসে এখন প্রচুর আর্দ্রতা থাকায় গরমের কারণে মানুষ বেশি অস্বস্তি বোধ করছে। এটি অত্যধিক ঘাম এবং ক্লান্তির দিকে পরিচালিত করে, মানুষ দুর্বল বোধ করে। আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে, তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে, কমতে পারে এবং তারপর আবার বৃদ্ধি পেতে পারে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"