অনেকেই জানে আমাদের প্রিয় শহর ভারতের কলকাতায় যেমন একটি বউ বাজার রয়েছে, ঠিক তেমনই বুলগেরিয়াতেও একটি বউ বাজার রয়েছে। কলকাতার বউ বাজার প্...
অনেকেই জানে আমাদের প্রিয় শহর ভারতের কলকাতায় যেমন একটি বউ বাজার রয়েছে, ঠিক তেমনই বুলগেরিয়াতেও একটি বউ বাজার রয়েছে। কলকাতার বউ বাজার প্রসিদ্ধ সোনার গয়নার দোকানের জন্য, আর বুলগেরির বউ বাজারটি আসলেই সত্যি সত্যি ‘বউ বাজার’। এখানে সত্যিই অর্থের বিনিময়ে বউ বিক্রি হয়। পাত্রের পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একজন মেয়ে বেছে কিনে নিয়ে যান এবং তাকে পুত্রবধূ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান। এটাই হলো সত্যি ঘটনা , কেমন যেন অদ্ভুত না ব্যপারটি!
বউ বিক্রি
নিশ্চয়ই আপনি আজ পর্যন্ত হরেক রকমের বাজার ঘাট দেখেছেন। জামা-কাপড়,থেকে শুরু করে জুতো, গয়না, শাক-সবজি, গয়না, বাসন, ফুল, বই, আসবাব আরো অনেক কিছুরই বাজার রয়েছে। কিন্তু যদি আপনাকে বলা হয়- কখনও কি বিয়ের কনের বাজার দেখেছেন? হ্যাঁ, শুনে অবাক লাগবে নিশ্চয়। হ্যাঁ এটাই সত্যি ,এই সময়ে এসেও নারী কেনাবেচা হয় । সাধারণ বাজারের মতোই এই বাজারে বিক্রি হন মহিলারা। অবাক করা বিষয় প্রিয় শহর কলকাতায় যেমন একটি বউ বাজার রয়েছে, তেমনই বুলগেরিয়াতেও একটি সত্যি সত্যি বউ বাজার রয়েছে।
কলকাতায় বউ বাজার বিখ্যাত যেমন সোনার গয়নার দোকানের জন্য, আর বুলগেরিয়ার বউ বাজারটি আক্ষরিক অর্থেই ‘বউ বাজার’। এখানে সত্যি সত্যিই অর্থের বিনিময়ে বউ কেনা যায়। বিয়ের যোগ্য পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একটি মেয়ে বেছে কিনে নেন এবং তাঁকে পুত্রবধূ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান।
বুলগেরিয়ায় একটি বাজার রয়েছে যেখানে বিয়ের পাত্রী বিক্রি হয়। সেদেশের ‘বউ-বাজার’টি রয়েছে স্তার জাগোর নামের এক স্থানে। পুরুষরা এই বাজারে তাঁদের পরিবার নিয়ে যান এবং নিজের পছন্দমতো মেয়ে বেছে টাকা দিয়ে কিনে নেন।
পছন্দের মেয়েকে কেনা হয়
যে মেয়েটিতে পছন্দ করা হয় তার সঙ্গে দর কষাকষি করা হয়। তারপর যখন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা প্রদত্ত মূল্যে খুশি হন, তখন সেই মূল্যে ছেলেটির পরিবারকে সেই মেয়ে দেওয়া হয়। তারপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং মেয়েটি তার স্ত্রীর মর্যাদা পায়।
এই বাজারটি স্থাপিত হয়েছে গরীবদের জন্য
এই কনের বাজারটি মূলত গরিব পরিবারের মেয়েদের জন্য। যেসব মেয়ের পরিবার অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তারা তাদের মেয়েকে নিয়ে যায় এই বাজারে যায়। এর পর ছেলেরা মেয়ে বেছে ঘরে নিয়ে যায়।
এই প্রথা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে
বুলগেরিয়ায় বহু যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। এই বাজার স্থাপনের অনুমতি মিলেছে সরকারের তরফেও। বাজারে মেয়েদের দাম ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়।
মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে রয়েছে অনেক নিয়ম
মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রথমত মেয়েটিকে কুমারী হতে হবে। তবেই তার দর বেশি হবে। শুধুমাত্র কালাইদঝি সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাঁদের মেয়েদের এই বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পরিবারটির দরিদ্র হওয়া আবশ্যক। আর্থিকভাবে সাবলম্বী বা ধনী পরিবারের মেয়েদের বিক্রি করা নিয়ম বিরুদ্ধ। এছাড়াও বাজের কেনা মেয়েটিকে পুত্রবধূর মর্যাদা দেওয়া আবশ্যক।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"