গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকার মধ্যে হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ত...
গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকার মধ্যে হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, আমরা যদি চামড়ার প্রকৃত দাম দিতে পারি, পথে পথে যেসব অনিয়ম ঘটে সেগুলো দূর করতে পারি, গরুর খাদ্যের মূল্য কমাতে পারি, গ্রামের অপ্রতিষ্ঠিত হাটের মূল্য কমাতে পারি, তাহলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস খাওয়া সম্ভব হতো। আশপাশের দেশগুলোর মত (প্রতিবেশী দেশ) গরুর মাংসের মূল্য এক কেজিতে ৪০০ টাকা নামানো সম্ভব ছিলো। গতকাল রোববার পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কসাইটুলি আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে অবস্থিত নয়ন আহমেদের মাংসের দোকান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপের সময়ে তিনি এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গরুর মাংসের দাম কমলে মাছ, মুরগি ও ডিমের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে এ কথা বলেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। তিনি বলেন, কারণ গরুর মাংস প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এটির দাম কমলে ব্রয়লার মুরগি, মাছ ও ডিমের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এই বিষয়ে আরও নজর দেওয়া দরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারণ করা দামে ২৯টি পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধানে আগ্রহী হলে তারা উক্ত বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। এরপরে তিনি জানালেন, গত শনিবার থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যৌক্তিক মূল্য বাস্তবায়ন হয়নি। তাদের আইনের মধ্যে চলার প্রেক্ষিতে বাজার মনিটরিং বা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি অংশ মাত্র রয়েছে। তবে তারা সারা বছর ধরে বাজার মনিটরিং করছে। গতকালও তারা সারা দেশে ১৫২টি বাজারে ভ্রমণ করে সাড়ে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই সমস্যার সমাধানে কিছু সময় লাগবে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
এর আগে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, পুরান ঢাকার কসাইটুলির গর্ব নয়ন দেখিয়ে দিয়েছেন গরুর গোশত ৫৮০ টাকায় বিক্রি করা যায়। তিনি বলেন, দেশে এখনো কোথায় গরুর গোশতের কেজি ৮০০, কোথাও ৭৫০, কোথাও ৭০০ টাকা। নয়ন, খলিল, উজ্জ্বলরা যদি কম দামে গরুর গোশত কম দামে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে কেন বেশি দাম হবে?
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"
.jpg)
