Page Nav

HIDE

Breaking News:

latest

একবার কি ভেবেছেন?, গাড়ির টায়ারের রঙ কেন কালো হয়?

  রাস্তায় বের হলেই গাড়ি আর গাড়ি। পৃথিবীতে বিভিন্ন রঙের গাড়ি রয়েছে। কোনোটা সাদা, কোনোটা কালো, কোনোটা লাল। কিন্তু সব গাড়িরই চাকার রঙ কালো। কে...

একবার কি ভেবেছেন?, গাড়ির টায়ারের রঙ কেন কালো হয়?
 


রাস্তায় বের হলেই গাড়ি আর গাড়ি। পৃথিবীতে বিভিন্ন রঙের গাড়ি রয়েছে। কোনোটা সাদা, কোনোটা কালো, কোনোটা লাল। কিন্তু সব গাড়িরই চাকার রঙ কালো। কেন গাড়ির চাকার রঙ কালোই হয় তা কখনো ভেবেছেন কি?


আজ যদিও সব গাড়ির চাকার রঙ কালো, কিন্তু আগে এমন ছিল না। প্রায় ১২৫ বছর আগে গাড়ির চাকার রঙ হত সাদা। টায়ারের এই সাদা রঙকে আভিজাত্যের প্রতীক বলে মনে করা হত।


টায়ার তৈরি হয় রাবার দিয়ে, যার রঙ হত হালকা ধূসর। এর সঙ্গে টায়ার মজবুত করতে মেশানো হত জিঙ্ক অক্সাইড। যার ফলে টায়ারের রঙ হত সাদা।


কিন্তু রাবারের সেই চাকাগুলো হত দুর্বল, খুব বেশি ওজন নিতে পারত না। ক্ষয়প্রবণ এবং তাপের প্রতি অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীল। এই কারণে বেশি ভারে এবং তাপমাত্রায় রাবারের বিকৃতি ঘটত। কাজেই টায়ার তৈরির সময় রাবারের সঙ্গে উপযোগী রাসায়নিক যোগ করা শুরু হল, যা রাবারের তাপ সহনশীলতা, ক্ষয়রোধ ও ভার বহনের ক্ষমতা বাড়ায়।


টায়ারকে আরও মজবুত ও টেকসই করতে যোগ করা হল কার্বন ব্ল্যাক। কিন্তু এটি রাবারের প্রাকৃতিক ধূসর সাদাটে রঙকে কালো করে দেয়। এ জন্যই টায়ারের রঙ কালো।


কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারে টায়ারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। আগে যেসব টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার করা হতো না, সেগুলো পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ঠিকঠাক চলত। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করার পর টায়ারগুলো প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার চলে।


কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারের পেছনে অন্য একটি কারণও রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বুলেট তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে জিংক অক্সাইড দরকার ছিল। তাই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো জিংক অক্সাইডের পরিবর্তে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করতে বাধ্য হয়ে। এ জন্যেই টায়ারের রঙ কালো হয়।



সবার আগে পেতে Follow করুন:

" আঁধার আলো নিউজ গুগল নিউজ"

" আঁধার আলো নিউজ টুইটার "

" আঁধার আলো নিউজ ফেসবুক

"আঁধার আলো নিউজ পিন্টারেস্ট

" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"