আর মান-অভিমানের প্রসঙ্গে কী বলবেন? যখন দুজন মানুষ একসাথে হাঁটতে যায়, তখন রাগারাগি, ঝগড়াঝাঁটি তখন কত কিছু হয় একটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু যদ...
আর মান-অভিমানের প্রসঙ্গে কী বলবেন? যখন দুজন মানুষ একসাথে হাঁটতে যায়, তখন রাগারাগি, ঝগড়াঝাঁটি তখন কত কিছু হয় একটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু যদি রাগের পর্যায়ে হয় , তাহলে সম্পর্কের ভিতরে অশান্তি তৈরি হতে পারে। তাই, রাগ উঠলেই অপরের সাথে বলা কথার বিশ্বাস হারানো উচিত নয়। প্রতিটি সম্পর্কের জন্য সম্মানিত এবং সুরক্ষিত আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাবে মন্তব্য দিলে মিথ্যা বলার আশঙ্কা কমে যায়। আপনি আপনার সঙ্গীকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধভাবে ভালোবাসেন এবং তার সাথে সুখে থাকতে চান। কিন্তু রাগের মুহূর্তে সম্পর্কের কাছে বিচ্ছিন্ন কথা বলা অথবা ভাগ হওয়া উচিত নয়। এটা সহ্য করা সহজ গুণ নয়, বরং মন্তব্য বা হুমকি দেওয়া হলে সম্পর্কের বিশ্বাস লুপ্ত হতে পারে। আপনার সঙ্গীকে আগের মিষ্টি সম্পর্ক ফিরে আসতে দিন।
আমি সম্পর্ক থেকে রাগ পরিত্যাগ করার ইচ্ছা করি। আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে ভালোবাসেন, তবে এটা বুঝাতে অনুমতি দিন। এক্ষেত্রে সম্পর্কের ভিতরে যা ঘটে তা অনুমতি দিয়ে বুঝানো উচিত বলে মন্তব্য করুন। রাগের মুহূর্তে সম্পর্কের অবিশ্বাস সৃষ্টি হতে দিবেন না।
আপনি হয়তো মনে করছেন, আপনার সঙ্গী মিথ্যা বলছেন। তবে এই ধরনের সন্দেহের সাথে সাম্মিল্য না হওয়াই ভালো। আপনি যদি কোন সন্দেহের মুখোমুখি হন, তাহলে প্রথমে তার সঙ্গে আলাপ করুন। সত্যিকার বুঝতে পারলে তাকে নেতিবাচকভাবে প্রতিক্রিয়া দিন। তাহলে শান্তি ফিরেআস্তে পারে।
আপনি সামান্য বিষয়ে ‘রিঅ্যাক্ট’ করছেন। যখন আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে কিছু সামান্য বিষয়ে ‘রিঅ্যাক্ট’ করেন, তখন তাকে বুঝাতে যাবেন না। বরং তাকে কেন সেই রিঅ্যাক্ট করতে হয়েছে, তা বুঝাতে চেষ্টা করুন।
‘কখনোই’ এবং ‘সব সময়’ এ ধরনের কথা সঙ্গীকে বলবেন না। বরং সমস্যার সময়ে তার সাথে আলাপ করে যে কাজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে আলোচনা করুন।
সঙ্গীর পরিবারের সম্মান রাখুন। তাদের উপর অসম্মানসূচক মন্তব্য করবেন না।
‘কখনোই’ এবং ‘সব সময়’ এ ধরনের বিশ্বাস বুঝিয়ে দিন। বরং সম্পর্কের কাছে যে বিষয়ে অসন্দেহ হচ্ছে, তা সামনে আনুন।
আমাকে কি কাজের লোক বা টাকা কামানোর মেশিন মনে হয়? এমন কথা বলবেন না। বরং আপনি যে কাজ করছেন, তা সম্পর্কে তার মন্তব্য বা পরামর্শ চান।
সঙ্গীর সাথে ভাগ করুন আপনার চিন্তা ও অনুভূতি। তার মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
‘কখনোই’ এবং ‘সব সময়’ এ ধরনের মতামত বিবেচনা করে নিজের সঙ্গীকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। বরং সহনশীলতা ও মিল বোধের মাধ্যমে সমাধান খুঁজুন।
আপনার জীবনসঙ্গী সামাজিক দৃষ্টিতে কোনো ছোট কাজ করলেও, সে নিয়ে হীনম্মন্যতা অনুভব না করুন। বরং মনে রাখবেন, সত্যিকার কাজের মাধ্যমে যে কোনো কাজই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তা কখনোই 'ছোট' হয় না। প্রয়োজনে তার পাশে দাঁড়াতে জীবনের লড়াইয়ে এগিয়ে আসুন। আপনি আসলে তার সাথে সত্যিকারের জীবনসঙ্গী ইটা প্রমান করুন , তার ভালো লাগবে। আবার, আপনার খারাপ সময়ে যদি সে 'ছোটখাটো' কোনো উপহার বা আয়োজনে আপনাকে উৎফুল্ল করতে চান, তাঁর প্রচেষ্টা কখনোই ছোট বা খাটো করে দেখবেন না। তার সম্মানে অনুগ্রহ করে এই ধরনের বিষয়ে 'এসব করে কী হবে?' কখনোই বলবেন না।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"
.jpg)
