দুর্ভাগ্যবশত, আমরা কেউ ত্বকের ঝুলে পরা বজায় রাখতে পারব না। কারণ, এটি বার্ধক্যের একটি অংশ। প্রকিতির নিয়মে এটা হবেই। সঠিক যত্ন নেওয়...
দুর্ভাগ্যবশত, আমরা কেউ ত্বকের ঝুলে পরা বজায় রাখতে পারব না। কারণ, এটি বার্ধক্যের একটি অংশ। প্রকিতির নিয়মে এটা হবেই। সঠিক যত্ন নেওয়ার অভাবেও ত্বক এর ঝুলে পরা বৃদ্ধি পাতে পারে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। যত্নশীলতা অবলম্বন করলে ত্বকের ভাঁজ বা অব্যাহতি, চামড়া এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করা সম্ভব। ত্বকের ঝুলে পড়া একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। এটির পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে।
- ত্বক ঝুলে পড়তে পারে দেরি ও পরিশ্রমের ফলে। যখন একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবন বেশি ব্যস্ত হয়, তখন তার পরিষ্কারণ এবং সময় ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হয়না।
- ত্বকের ঝুলে পড়ার কারণ হতে পারে অস্বাস্থ্যকর পোশাক ও অল্প পরিষ্কারণের জন্য যে কীটজাতি এর হানি হয়।
- ত্বক ঝুলে পড়ার অন্য একটি মূল কারণ হতে পারে অধিক পরিমাণের ধূলোধুলির পরিমাণ, যা ত্বকের নির্ঝরণক্ষমতা কমিয়ে ত্বকের সুস্থতা নিশ্চিত করে না।
- ত্বকের ঝুলে পড়ার কারণ হতে পারে ক্রমবর্ধমান বয়সের ফলে ত্বকের জীর্ণ হওয়া এবং সংলগ্ন সমস্যার মধ্যে ত্বকের লুজ হওয়া।
- ত্বক ঝুলে পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। অতিরিক্ত তেল, চিনি, প্রসেস খাবার এবং নিয়মিত আচার সবই ত্বকের অস্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণ হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে পরিষ্কার কস্মেটিক ব্যবহার ত্বক ঝুলে পড়ার একটি উচ্চ ঝুঁকি উত্পাদন করতে পারে।
- ত্বকের ঝুলে পড়ার পরিস্থিতিগুলির মধ্যে পরিবেশের অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে। ভালো পরিবেশে থাকতে না পারলে, ত্বক স্বাভাবিকভাবে পরিষ্কার হয়না এবং অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।
- ত্বকের ঝুলে পড়ার কারণ হতে পারে শারীরিক অবস্থা যেমন অতিরিক্ত স্ট্রেস, ভালো ঘুমের অভাব ইত্যাদি।
জানেন কি ত্বক কেন ঝুলে পড়ে?
'জার্নাল অব কিউটেইনিয়াস প্যাথলজি' নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, 'ইলাস্টিন' নামের একটি প্রোটিন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা প্রদান করে। বয়সের সাথে সাথে ত্বকের 'ইলাস্টিন' প্রোটিনের পরিমাণ কমে যার ফলে ত্বক কোমল ও নমনীয় হয়ে যায়। এর ফলে কোলাজেনের হ্রাসের ফলে ত্বকের নিচের চর্বিও কমে যায় এবং শারীরিক পরিবর্তনের ফলে ত্বক সংকুচিত হয়। এ কারণে ত্বকে ভাঁজ ও ঝুলে পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। প্রকৃতিতে এমন উপাদান আছে যা ত্বকের টন টন করতে সহায়তা করে। যেমন:
শসা:
'ফিটোটেরাপি' সাময়িক প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, শসায় পাওয়া যায় ইলাস্টিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং ত্বকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখার ক্ষমতা। শসার খোসা খোলে ব্লেন্ড করে তার রস আলাদা করে নিতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে রস নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরা:
ত্বকের যত্নের সেরা হারবাল অ্যালোভেরা। এর মধ্যে রয়েছে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং তনব্যাধিত ত্বক উৎপাদনে সহায়তা করা। এছাড়া, এটি কোলাজেন এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়ক হয়। অ্যালোভেরা পাতা থেকে সাদা অংশটা আলাদা করে নিতে হবে এবং তা ত্বকে ব্যবহারের পর ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মধু:
ত্বকে 'ডিটক্সিফাই' বা দূষণ মুক্ত করে, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং ভাঁজ দূর করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ মধুর সঙ্গে সামান্য পানি যোগ করতে হবে। ত্বকের ভাঁজযুক্ত স্থানে মিশ্রণটি মেখে ২০ মিনিট পর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ক্যাফেইন:
কফিতে থাকা ক্যাফেইন ত্বককে বয়সভিত্তিক অক্সিডেটিভ চাপ থেকে সুরক্ষিত রাখে। 'অক্সিডেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সেলুলার লংজিভিটি জার্নাল' এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ক্যাফেইন অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া বয়সের ছাপ কমাতে পারে। কফির বীজে পানি যোগ করে পেস্ট তৈরি করে আলতো করে ত্বকে গোলাকারভাবে ব্যবহার করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বকের ঝুলে পড়ার সমস্যার সমাধানের জন্য যথেষ্ট পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। নিয়মিত পরিষ্কারণ, পোষণমূলক খাবার খেয়ে যেতে হবে। এছাড়া, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া উচিত। তাহলে ত্বকের ঝুলে পড়ার ঝুঁকিকে কমিয়ে দেবে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"
.jpg)
