Page Nav

HIDE

Breaking News:

latest

লাইলাতুল বারাআত শবে বরাত মুক্তির রাত নামটি এলো যেভাবে

  মুক্তি কে না চায়।  আর পৃথিবীতে সব চেয়ে বড় মুক্তি পাওয়া হলো আল্লাহর কাছে মুক্তি। যার কাছে মুক্তি পেলে আর কিছু লাগেনা। ইসলামে শবে বরাত শব্দট...

 

লাইলাতুল বারাআত শবে বরাত মুক্তির রাত নামটি এলো যেভাবে


মুক্তি কে না চায়।  আর পৃথিবীতে সব চেয়ে বড় মুক্তি পাওয়া হলো আল্লাহর কাছে মুক্তি। যার কাছে মুক্তি পেলে আর কিছু লাগেনা। ইসলামে শবে বরাত শব্দটি ফার্সি থেকে এসেছে। যার শব অর্থ হলো রাত। আর বরাত মানে মুক্তি পাওয়া। সম্পূর্ণভাবে বলতে গেলে শবে বরাত মানে হলো সবার মুক্তির রাত। আরবিতে একে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বলা হয়। হুবহু শবে বরাত শব্দটি কোরআন হাদিসে নেই। আর তা থাকার কথাও নয়, কারণ তা ফার্সি শব্দ- মূল বিষয়টি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হাদিসে একে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলা হয়েছে। যা এখনো মানুষের কাছে অজানা। 


হাদিস শরিফে এসেছে-


عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن.


মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। অতঃপর শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া তার সমগ্র সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৫৬৬৫)


মূল বিষয়টি যেহেতু হাদিস শরিফে রয়েছে তাই প্রচলিত ফার্সি নামটি কুরআন-হাদিসে না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। এ রাতটি আনন্দ- উৎসব করে কাটানোর জন্য নয়, কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা এ রাতে আনন্দ উল্লাস করে সময় কাটায় যা একেবারেই ঠিক নয়। এ রাতের মূল মাহাত্ম্ হলো আল্লাহর নামে ইবাদত করে কাটানো। নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, জিকির-আজকার ও কোরআন তিলাওয়াত করে সময় কাটানো। এ রাতে আল্লাহর রাসূল দীর্ঘ সময় নিয়ে নামাজ আদায় করতেন।


আম্মাজান হজরত আয়েশা রা. বলেছেন, একদিন গভীর রাত্রে রসুলুল্লাহ সা. নামাজ পড়ছিলেন। নামাজ পড়ার সময় তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দীর্ঘ সেজদা করেন। এভাবে দীর্ঘ সেজদা করতে দেখে, হযরত আয়েশা রা. এর ধারণা হয়, রসুলাল্লাহ সা. হয়তো নামাজ পড়তে গিয়ে ইন্তেকাল করেছেন।


হজরত আয়েশা রা. তখন তার সন্দেহ দূর করার জন্যে রসুলুল্লাহ সা. বৃদ্ধাঙ্গুলিটি ধরে নাড়া দেন। তাতে রসুলাল্লাহ সা. আঙুল নাড়িয়ে সাড়া দেন। এরপর রসুলাল্লাহ সা. সেজদা থেকে উঠে নামাজ শেষ করে হযরত আয়েশা রা. কে বললেন, হে আয়েশা! তোমার কি ধারণা, আল্লাহর রসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? হযরত আয়েশা রা. তখন উত্তরে বলেন, না, ইয়া রসুলুল্লাহ। 

 

আপনার দীর্ঘক্ষণ সেজদা করা দেখে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, আপনি হয়তো ইন্তেকাল করেছেন? তাই আমি আমার সন্দেহ মেটানোর জন্য আপনার আঙুল নেড়ে, আপনাকে পরীক্ষা করে দেখছিলাম আপনি জীবিত আছেন কি না।


নবীজি তখন আয়েশাকে রা.-কে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি জানো, আজকের রাতটি কী রাত? আয়েশা তখন নবীজিকে বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই আমার অপেক্ষা ভালো জানবেন আজেকের রাতটির তাৎপর্য কী?


তখন রসুলাল্লাহ সা. বললেন, আজকের রাতটি হলো অর্ধ শাবানের রাত। মহান আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে তার বান্দার সব প্রার্থনা মনোযোগ সহকারে শোনেন। যারা ক্ষমাপ্রার্থী তাদের পাপ ক্ষমা করে দেন। আর যারা অনুগ্রহপ্রার্থী তাদের অনুগ্রহ করেন, তাদের বরকত প্রদান করেন। আর যারা বিদ্বেষ পোষণকারী, তাদের ক্ষমা না করে তাদের নিজের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২-৩৮৩; তাবারানি: ১৯৪)




সবার আগে পেতে Follow করুন:

" আঁধার আলো নিউজ গুগল নিউজ"

" আঁধার আলো নিউজ টুইটার "

" আঁধার আলো নিউজ ফেসবুক

"আঁধার আলো নিউজ পিন্টারেস্ট ;

" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"

" আঁধার আলো নিউজ লিংকডইন "