তাপমাত্রা কিন্তু এখন ক্রমশঃ বাড়ছে, এবং এর সাথে সাথে মশার উপদ্রব ও কয়েকগুন বাড়ছে। রাতে মশারির আওয়াজে ঘুমানো সহজ হয়না এখন, এবং এতে আমরা নিরা...
তাপমাত্রা কিন্তু এখন ক্রমশঃ বাড়ছে, এবং এর সাথে সাথে মশার উপদ্রব ও কয়েকগুন বাড়ছে। রাতে মশারির আওয়াজে ঘুমানো সহজ হয়না এখন, এবং এতে আমরা নিরাপদে সময় কাটাতে পারিনা, গুমাতে পারিনা। এই মশার সমস্যা সমাধানে দুঃখজনক হয়ে উঠছে। মশা কামড়ে আসলে একটি আবর্জনাদায়ক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, আর মশা কামড়ানোর জন্য কোন ফাঁকে আসে তা মানুষের জন্য বুঝা কঠিন হয়ে পরে । গায়ে বসার অপশন না পেলে ওড়াওড়ি অথবা অতিসহিষ্ণুতাকর প্যানিক হয়ে গান গাওয়া শুরু করে! তাই প্রশাসনকে বলি মশার এই প্রসঙ্গে চার্জ করা হোক।
সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো, মশার কামড় থেকে আক্রান্ত হওয়া মানুষ মারাত্মক রোগের মাঝে পরে । অনেক সময়ে এটি জীবন সংকটের সৃষ্টি করে। তাই মশা দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মশা দূর করা সবচেয়ে উত্তম কয়েকটি মাধ্যম আছে । চলুন, জেনে নেই, মশা দূর করার জন্য কিছু ধুয়ামুক্ত উপায়-
লেবু-লবঙ্গ দিয়ে:
লেবু সাধারণত প্রতিটি বাড়িতে পাওয়া যায়। এটি মশা দমনে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হলো একটি পাকা হলদে রঙের লেবু ব্যবহার করা। এই লেবুর সাথে কিছু লবঙ্গ মিশে রাখলে তা লবঙ্গের গন্ধ মশাদের আগ্রহ কমায় এবং মানুষের বাড়িতে প্রবেশ করতে উৎসাহিত করে না। আরেকটি পদ্ধতি হলো লেবুর টুকরা করে একটি থালায় রেখে সেটি ঘরের এক কোনে রাখা। এটি মশা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
নিমতেল
নিমতেলের অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি বিভিন্ন চর্মরোগে অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া, এটি মশা দমনেও কার্যকরী হতে পারে। নিমতেলের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে শরীরের উপরে লাগালে মশার উৎপাত কমে যায়। এতে মশা আপনার কাছে আসতে খুব একটা সাহস পায় না।
পুদিনা পাতা :
আপনি পুদিনা পাতা নিয়মিত ব্যবহার করেন অবশ্যই?আপনার বাড়িতে একটি গাছ রাখতে পারেন। আপনার খাবার টেবিলে বা ঘরের যেকোনো জায়গায় একটি গ্লাসে কিছু পুদিনা গাছ ভিজিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন পর পানি পাল্টাবেন। যদি পুদিনা গাছ থাকে বাড়িতে, মশা তাড়া অনেক সহজ হতে পারে আপনার জন্য। কারণ পুদিনার গন্ধে মশা থাকতে পছন্দ করে না। আর গরম পানিতে পুদিনা পাতা দিয়ে তার ভাপ ছড়িয়ে দিলে ঘরে মশা আসতে পারে না। এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকরী ।
চা পাতা:
চা পাতা তৈরির পর আপনি চা পাতা ফেলে দেন অবশ্যই? এখন থেকে না ফেলে মশা তাড়ানো হতে পারে আপনার একটি হাতিয়ার। চা পাতা তৈরির পর চা পাতা ফেলে না দিয়ে তা শুকিয়ে নিন ভালো করে। তারপর সেগুলো পুড়িয়ে পুড়িয়ে ধুনোর মতো করে সারা ঘরে তাদের ধোঁয়া দিতে পারেন। এটি মশা তাড়া করার জন্য অনেক সহজ।
রসুন
রসুন মাত্র একটি ভেষজ খাবার হিসেবে মানুষের জন্য উপকারী নয়, এটি মশা তাড়াতেও অত্যন্ত কার্যকরী। প্রথমে পাঁচ ভাগ পানিতে একভাগ রসুনের রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তা সেই পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার সেই মিশ্রণ পুরো ঘরে স্প্রে করুন ভালোভাবে। এর গন্ধে মশা আর আপনার কাছে ঘেঁষবে না। আবার মজে যাওয়া রসুন পিষে ঘরের কোণে রেখে দিলে তাতেও মশা দূরে থাকবে।
তুলসী ও কর্পূর
তুলসী পাতা কেবল আপনার ঠান্ডা-কাশি দূর করে না, এটি মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রেও সমান কার্যকরী। তুলসী গাছ থাকলে মশা আর বাড়ির আশেপাশে আসবে না। আপনার বারান্দায় বা জানালার কাছে তুলসী গাছ রাখলে উপকার পাবেন। আবার একটি পানিভর্তি ছোট বাটিতে ৫০ গ্রাম কর্পূর মিশিয়ে ঘরের কোণে রেখে দিলে তাও মশা তাড়াতে কাজ করবে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"