বা চ্চারা এখন সকল প্রকারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে অনেক বেশি অভ্যস্ত। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্ট টেলিভিশন—এই সব ডিভাইসেই এখন বাচ...
বাচ্চারা এখন সকল প্রকারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে অনেক বেশি অভ্যস্ত। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্ট টেলিভিশন—এই সব ডিভাইসেই এখন বাচ্চাদের নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। খেলা বা পড়ালেখার জন্য ছেলেমেয়েরা এই ডিজিটাল স্ক্রিনগুলিতে মনোনিবেশ করছে।
অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদেরকে ডিজিটাল স্ক্রিনে সময় কাটানো নিষিদ্ধ করছেন, তবে শিশুরা এই কথা শোনতে চায় না। এ ধরনের ঘটনাই এখন সচরাচর ঘটে। একবার এই অভ্যাস গঠন হলে তা থেকে বের হওয়া কঠিন হয়। ডিজিটাল স্ক্রিনে অনেক সময় অতিবাহিত থাকা ছেলেমেয়ের উপর কঠিন নিয়ম আঁকা হতে পারে যা সাধারণভাবে ভালো প্রভাব ফেলে না। আরও ভালো পরিবর্তন আনার জন্য, স্ক্রিন সময়কে সু-অভ্যাস গড়ে তোলার প্রথা অনুসরণ করা উচিত।
আসুন কিছু জিনিস অজানা নেই --
১. ডিজিটাল স্ক্রিনে শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা:
ছোটদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষামূলক এবং তথ্যযুক্ত বিষয়গুলি নির্বাচন করুন। শিক্ষামূলক অ্যাপগুলির মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া যেতে পারে, যা তার বয়সের উপযুক্ত নানা ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করতে পারে। তার জন্য সে মজাদার কাজের ভিডিও খুঁজে পাবে, যা দেখে সে নিজেও প্রয়োগ করতে পারবে। যেমন, শিশু ছবি আঁকার টিউটোরিয়াল দেখাতে পারেন। অথবা সে যেকোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেতে পারে, যেখানে তার মধ্যে একটু গভীর ভাবনা অথবা সাধারণ গাণিতিক সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
২. স্বাস্থ্যবিধানে দক্ষতা অর্জন:
ডিজিটাল স্ক্রিনে কাজ করার সময় নিজের দেহভঙ্গি সঠিক ভাবে রাখা এবং বিশেষভাবে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দিন। স্ক্রিনের কাছে ধরা এবং প্রয়োগ অভ্যাস থেকে পরিহার করুন। স্ক্রিন ব্যবহারে বিরতি নেওয়া, দূরে তাকানো, দেহের বিভিন্ন পেশিগুলির অনুযায়ী আচরণ সম্পর্কে শিশুকে শিখান। দিনের প্রায়ই মনে রাখুন একটি বিষয়ে একাধিকবার মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। স্ক্রিন সম্পর্কে আশঙ্কা অনুভব করলে, শিশুর সাথে সাক্ষাৎ করে তা বুঝাতে পারেন। এবং সাথে সাথে তাকে প্রটেক্ট করার পদক্ষেপ নিন।
৩. স্ক্রিন টাইমে সময় কাটান:
শিশুর যদি ডিজিটাল স্ক্রিনে সময় কাটার পছন্দ হয় তাহলে তার সাথে থাকুন। ডিজিটাল জগতে সমাহার করতে সাহায্য করুন। তার কাছে ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু করার সুযোগ দিন। শিশুর সাথে স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণে আপনার ভূমিকা খারাপ হতে পারে না। ডিজিটাল মাধ্যমে গল্প তৈরি, শিল্পিক কাজ সৃষ্টি বা কোডিং সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন। তবে, এটি করার আগে অবশ্যই তার বয়স ও আগ্রহ অনুযায়ী নির্ধারিত করুন।
৪. নির্দিষ্ট সীমা অবলম্বন করুন:
সকালে ঘুম থেকে উঠে মুঠোফোন ধরা অবাধ্য করুন। ঘুমের আগে মুঠোফোনে সময় কাটানো নিষেধ করুন। শিশু যে পরিমাণে এগিয়ে যাচ্ছে এই বিষয়ে, তা অবলম্বন করুন। তার কতটা সময় ডিজিটাল স্ক্রিনে ব্যয় করা উচিত এবং কোন কাজ করা উচিত—এগুলোর নির্ধারণ করুন। স্ক্রিনে সময় কাটানোর সময়ে অন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার উৎসাহ দেবেন। এই সময়ে শিশু তার ভালো লাগার অন্য কাজ করতে পারে, যেগুলোতে ডিজিটাল স্ক্রিনের প্রয়োজন নেই। স্ক্রিন দেখার সময়টাতে যদি কেউ ডাক দেওয়ার জন্য যায়, সেই ডাকে সারা দিতে শিখান।
৫. বিকল্প তৈরি করুন ডিজিটাল স্ক্রিনের জন্য:
শিশুরা সবসময় আনন্দ পেতে চায় ডিজিটাল স্ক্রিনে। তাদের জন্য বাহিরের আসল জগতের, অপরিসীম জগতের, চরম আনন্দময় এবং আকর্ষণীয় বিষয়গুলি নিয়ে আসাটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাস্তব বই পড়া, গল্প বা শোনানো, সৃষ্টিশীল খেলা, বা কোন মজার জিনিস তৈরি করার মতো বিষয়গুলির উপর আলোচনা করতে পারেন।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"