সফল সন্তানদের বড় হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট রেসিপি প্ৰস্তুত নাই। তবে, মানসিক বিজ্ঞানের গবেষণা অনুযায়ী কিছু বিশেষ শর্তগুলি গ...
সফল সন্তানদের বড় হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট রেসিপি প্ৰস্তুত নাই। তবে, মানসিক বিজ্ঞানের গবেষণা অনুযায়ী কিছু বিশেষ শর্তগুলি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী হতে পারে যা অভিভাবকদের সাহায্য করতে পারে। এই গবেষণার পর্যালোচনায় বুঝা যায়, যারা তাদের সন্তানকে সফল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনামূলক দিকে নিয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্যও প্রকাশিত হয়েছে। যেমন:
উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনুভব হচ্ছে:
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীল হালফনের একটি গবেষণা অনুসারে দেখা গিয়েছে যে, তাদের সন্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির সময়ে বাবা-মা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। যারা সন্তানের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বেশি তারা সন্তানদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে প্রবৃদ্ধি করতে সক্ষম হতে পারে।
টুকিটাকি কাজে মনোনিবেশ করেছেন:
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব-ছাত্র ও ফ্রেশম্যান জুলি লিথকট-হাইমস বলছেন, বাল্যকাল থেকেই শিশুদের নিজেদের এবং ঘরের সদস্যদের জন্য টুকিটাকি কাজে অভ্যাস করা উচিত। আর সফল ব্যক্তিদের পিতা-মাতারা এটি অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট করে থাকেন।
স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক উন্নীত করেছেন:
অশান্তির পরিবেশে বেড়ে উঠে যাওয়া সবার জন্য তাদের ভবিষ্যত অন্যদের চেয়ে কম সুস্থতার দিকে যায়। বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাদ বা বিচ্ছেদ সন্তানের সফলতার উপর আপত্তি ফেলে যায়। এই কারণে একটি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা অনুসারে পরিবারের বন্ধন ও সম্পর্ককে সুস্থ রাখার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে আহ্বান জানানো হয়েছে
শিক্ষা প্রাপ্ত করেছেন:
২০১৪ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী সান্দ্রা ট্যাং একটি গবেষণায় প্রকাশ করেছেন যে, যারা উচ্চশিক্ষা প্রাপ্ত করেছে, তারা তাদের সন্তানদের জন্য সফলকামী মানুষ তৈরি করতে সক্ষম। এই জন্য সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই
সামাজিক দক্ষতা অর্জনে শিক্ষা দেওয়া:
একটি গবেষণা দেখাচ্ছে যে, কিন্ডারগার্টেনে পড়া শিশুদেরকে বিভিন্ন সামাজিক দক্ষতা অর্জনে শিক্ষা দিলে তাদের উপর দুই যুগ ধরে কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারে। এই গবেষণা প্রায় বিশ বছর ধরে চালানো হয়েছে এবং এই শিশুরা বড় হয়ে অন্যদের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। তাই কারিগরি শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ
মানসিক চাপ মুক্ত রাখতেন:
একটি গবেষণা প্রকাশ করে যে, ৩-১১ বছর বয়সের শিশুর সাথে বাবা-মায়ের সময়ের খরচের পরিমাণ শিশুর সফল উন্নতি ওঠাতে প্রভাবিত করে। এর ফলে সন্তানের লালনে অভিভাকের মানসিক চাপ যত কম থাকে,আর সেই কারণে শিশুর বৃদ্ধি এবং সফলতার সম্ভাবনা অনেকগুন বেড়ে যায়।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"