বিয়ে সবার উপর ফরজ হওয়া একটি সুন্নতি আমল, তাই নির্ধারিত বয়সে বিয়ে হওয়ার নিশ্চিয়তা নেই। অনেক নারী-পুরুষের জীবনে বিয়ে বলে বয়সের কোন সীমা নে...
বিয়ে সবার উপর ফরজ হওয়া একটি সুন্নতি আমল, তাই নির্ধারিত বয়সে বিয়ে হওয়ার নিশ্চিয়তা নেই। অনেক নারী-পুরুষের জীবনে বিয়ে বলে বয়সের কোন সীমা নেই, আর অনেকেই কিছুদিন প্রেম করার পরই বিবাহ করতে রুচি পান। অন্যদিকে, কেউ এমন যার বিয়ে প্রস্তুতি থাকে, তবে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া সহজ হয় না। তাই বিয়ের বয়সের কোনো নির্ধারিত সময় নেই, বরং তাদের বিয়ের জন্য কিছু আমল আছে।
যেগুলো আমল করলে আল্লাহ দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন-
১. ইসতেগফার করা
সব সময় জবানে ইসতেগফার জারি রাখা। অর্থাৎ ‘আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ’ পড়া। কেননা যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইসতেগফার করে, সে মুসতাজেবুদ দাওয়াহ হয়ে যায়। যার দোয়া আল্লাহ কখনো ফেরত দেন না।
اَسْتَغْفِرُ الله – اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ: ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।
২. সূরা ইয়াসিন পাঠ করা
সূরা ইয়াসিন বিয়ে সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। সূরা ইয়াসিন পড়ার একটি বিশেষ আমল রয়েছে। যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না। তাদের জন্য এ আমলটি কার্যকরী।
আর তা হলো-
সূরা ইয়াসিনে ৭টি মুবিন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে উঠে তখন, পশ্চিমমুখী হয়ে সূরা ইয়াসিন পড়া। আর যখনই ‘মুবিন’ শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখনই শাহাদাত আঙুল দিয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করা।
৩. সূরা আদ-দোহাসহ সূরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ: ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।’
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন খুব একাকি ও বিষন্নতা অনুভব করতেন তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করতেন। তাই ওলামায়ে কেরাম নারী-পুরুষদের এ আমলটি দিয়ে থাকেন। যদি কোনো ছেলে এ আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে শিগগিরই আল্লাহ তাআলা তার জন্য ভালো পাত্রীর ব্যবস্থা করে দেন। আর মেয়েরা যদি নিয়মিত সূরা দোহা ১১ বার তেলাওয়াত করে তবে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন।
৪. সূরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ: ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।’
প্রতিদিন নামাজ আদায় করার পরপর বিয়ে আকাঙ্খী নারী-পুরুষের নিয়মিত এ আমলটি করা।
বিয়ে করা ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়া আল্লাহর রহমত। সামর্থ্য ও সময় হলেই দ্রুত বিয়ে করতে হয়। মূলত বিয়ের বিষয়টি ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। তাই সবার ক্ষেত্রে বিয়ের হুকুম এক নয়।
তবে যারা বিয়ের জন্য উত্তম জীবনসঙ্গীর অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য রয়েছে এ আমলগুলো-
১. অতিদ্রুত হালাল, উত্তম ও সম্মানজনক রিজিক এবং উত্তম ও দ্বীনদার স্ত্রী কিংবা স্বামী
পাওয়ার জন্য হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সেই ঐতিহাসিক দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-
رَبِّ إِنِّيْ لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيْرٌ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিং ফাক্বির।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! নিশ্চয়ই আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাজিল করবেন; আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস: আয়াত ২৪)
২. উত্তম জীবনসঙ্গী, নেককার সন্তান-সন্ততির জন্য আল্লাহ তাআলার শেখানো
কোরআনি দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুনিও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাক্বিনা ইমামা।’
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দাও।’ (সুরা ফুরক্বান : আয়াত ৭৪)
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"