২০০৬ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ দিয়ে শুরু তাঁর। ২০১৮ সালে ভারতীয় রিয়েলিটিশো সারেগামাপা থেকে জনপ্রিয়তা পান। নিয়মিত একক, দ...
২০০৬ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ দিয়ে শুরু তাঁর। ২০১৮ সালে ভারতীয় রিয়েলিটিশো সারেগামাপা থেকে জনপ্রিয়তা পান। নিয়মিত একক, দ্বৈত গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেনতিনি। সম্প্রতি একটি দেশের গানেকণ্ঠ দিয়েছেন। নতুন গান ও ব্যক্তিগত অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
এর আগেও দেশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ‘জননী জন্মভূমি’ গানটি কেমন হলো?
গানটি একেবারেই আলাদা। শ্রোতারা যে ধরনের গান শুনতে চান, এটি তেমনই। আগেও দেশের গান করেছি। সংখ্যায় খুবই কম। গানটির মাধ্যমে আমার ঝুলিতে মৌলিক গানের সংখ্যা বাড়ল। গানের কথা অসাধারণ। সুরও মিষ্টি। অমিতাভ দাশ হিমুনের কথায় সুর করেছেন রিপন চৌধুরী। সংগীতায়োজন সজীব দাশের।
‘ফিরব না তোমার কসম’ গানটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো। যারা এটি শুনেছেন, তারা ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন। ইশতিয়াক আহমেদের অসাধারণ কথার গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে নিজেরও ভালো লেগেছে। সাদাত হোসেনের সুরে গানটিতে আমার সঙ্গে গেয়েছেন জে কে এইচ জিসান। পাশাপাশি তিনিই গানটির মিউজিক করেছেন। নাটকের গানে এমনটিতে বেশি সাড়া মেলে। সে হিসেবে সাড়া ভালোই পাচ্ছি।
আগামী সপ্তাহে আপনার বিয়ে। শুনেছি, এ উপলক্ষে একটি গান করেছেন...
ঠিকই শুনেছেন। আমি ও আমার বর অমিত দে মিলে করেছি। সম্প্রতি এর রেকর্ডিং হয়েছে। সংগীত ক্যারিয়ারে নানা ধরনের গান করেছি। বিয়ে নিয়ে এটিই আমার প্রথম গান। এটি আমারই লেখা। ‘মুখে লাজুক লাজুক হাসি/ জড়োয়া বেনারসি’– এমন কথায় গানটির সুর আমাদের দু’জনের। শিগগিরই এটি আমার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে।
কোন ভাবনা থেকে গানটি করেছেন?
অমিতের সঙ্গে আমার পরিচয় বেশি দিনের নয়। ও খুব ভালো গান করে। আমাদের একসঙ্গে একটি গান করতে গিয়ে পরিচয়। তবে যে গানটি করার কথা ছিল, নানা কারণে সেটি আর হয়নি। কিন্তু বিয়েটা হচ্ছে। ভাবলাম দু’জনে মিলে একটি গান করি। আইডিয়াটা আমার মাথা থেকেই এসেছে। গানের প্রস্তাব দিলে বর রাজি হয়ে যায়। এভাবেই গানটি হয়েছে। বিয়ের যাবতীয় বিষয় গানের কথার সঙ্গে রিলেটেড। আমাদের বিয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই এ গান। এ কারণে বিয়ের সুন্দর সময়ে গানটি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা কবে?
এরইমধ্যে আশীর্বাদ হয়েগেছে। ১৫ ডিসেম্বর মিরপুরের একটি পার্টি সেন্টারে বিয়ে। এরপর ভালো দিনক্ষণ দেখে রিসিপশন হবে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আপনার চোখেহবু বর কেমন?
মানুষ হিসেবে সে খুবই ভালো। অনেক মেধাবী। সুন্দর বাজায়। কণ্ঠও ভালো।মিশুক মানুষটিকে এসব গুণের কারণেই আমার ভালোলেগেছে।
সংগীতশিল্পীদের অনেকেই অভিনয় করছেন। অভিনয় নিয়ে আপনার কোনো ভাবনা আছে?
অভিনয়ের প্রস্তাব যে পাইনি তা কিন্তু নয়। তবেআগ্রহ দেখাইনি। আমি একেবারেই অভিনয় না জানা মানুষ। অভিনয় করা যে কত কঠিন, তা মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ে গিয়ে টের পাই। এককথায় বলতে গেলে বলব, নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে যোগ্য মনে করি না [হাসি]।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সিনেমায় প্লেব্যাক করেছি। এরমধ্যে সরকারি অনুদানের সিনেমাও রয়েছে। ঈদের কাজও শুরু হয়ে গেছে। এনটিভির একটি গেম শোতে অংশ নিয়েছি। পাশাপাশি স্টেজ শোও করছি।
স্টেজ শোতে কোন বিষয়টি উপভোগ করেন?
শ্রোতাদের সামনে গান করার আনন্দই অন্যরকম। অনেকমৌলিক গান করলেও মানুষ আমাকে লাল দুটি গ্লাস বাজানো মেয়ে হিসেবেই চেনে। আয়োজকরা আমাকে শিস বাজানো মেয়ে বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। এ কারণে কিছু জায়গায় এখনও স্টেজ শোতে হুইসেল বাজাতে হয়। আমি এটি বেশ উপভোগ করি।
চলতি বছরটি আপনার জন্য কেমন ছিল?
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছি। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নানা কিছু ছিল। এ বছর আমার ভালো কিছু গান এসেছে। এ বছরই জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। মাবেশ অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে হাসপাতাল কেন্দ্রিকতা ছিল। আনন্দের মধ্যে এটিই বিষাদের। ভালোমন্দ মিলিয়েই ছিল বছরটি।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"